Saturday, October 22, 2016
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য উন্মোচন!
Saturday, October 22, 2016 by Unknown
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য উন্মোচন!
আটলান্টিক মহাসাগরের রহস্যময় অঞ্চল হিসেবে ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গল’ যুগ যুগ
ধরে পরিচিত। এটি এমন এক রহস্যময় অঞ্চল, যেখানে কোনো জাহাজ প্রবেশ করার পর
কিংবা ওই অঞ্চলের ওপর দিয়ে বিমান যাওয়ার পর, তা কখনো আর ফিরে আসেনি।
রহস্যময়ভাবে নিখোঁজ হয়েছে।
অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের ক্যারিবীয় সাগরে ত্রিভুজ আকৃতির ১১৪ লাখ বর্গ কিলোমিটারের অঞ্চলটি হচ্ছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। এটির এক প্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আরেক প্রান্তে পুয়ের্তো রিকো এবং অপর প্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বারমুডা দ্বীপ অবস্থিত।
রহস্যময় এই অঞ্চলটির সঠিক রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। সেই কলম্বাসের সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অঞ্চলটি রহস্যই থেকে গেছে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে কোনো জাহাজ প্রবেশ করলে তা রহস্যজনকভাবে কেন যে হারিয়ে যায়, সেটা অজানা থেকে গেছে।
যদিও রহস্য উন্মোচনে বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্ঠা থেমে নেই এবং নানা সময়েই বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল অঞ্চলের রহস্যের সমাধানের দাবী করে আসলেও, আদতে তা ‘নানা মুনির নানা মত’ এর মতোই।
যেমন এ বছরের মার্চ মাসে নরওয়ের বিজ্ঞানীরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যের সমাধানের লক্ষ্য পৌঁছাতে পেরেছেন বলে দাবী করেছিলেন। তাদের মতে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে মিথেন গ্যাস সমৃদ্ধ আগ্নেয়গিরি মুখ বা বড় গর্ত থাকতে পারে, যেটা জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাখা হতে পারে।
আর এবার যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যের আরো এক নতুন ব্যাখা। গবেষকদলের প্রধান ও স্যাটেলাইট বিশেষজ্ঞ ড. স্টিভ মিলার দাবী করেছেন, বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গেলের রহস্যের পিছনে রয়েছে সেখানকার ষড়ভুজাকৃতি মেঘ (হেক্সাগোনাল ক্লাউড)। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা দ্বীপে ২০ থেকে ৫৫ মাইল জুড়ে ষড়ভুজাকৃতি মেঘ তৈরি করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বাতাস। যার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ মাইল। এই বাতাস প্রায় ৪৫ ফুট উচ্চতার ঝড় তৈরি করতে পারে। এই বাতাস বোমার ফলেই বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গল দিয়ে যাওয়া জাহাজ বা প্লেন উধাও হয়ে যায়।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে গত ১০০ বছরে অন্তত ১০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। গড়ে প্রতিবছর এখানে ৪টি বিমান এবং ২০টি জাহাজ নিঁখোজ হয়েছে।
Tags:
Science And Technology
অ্যাটলান্টিক মহাসাগরের ক্যারিবীয় সাগরে ত্রিভুজ আকৃতির ১১৪ লাখ বর্গ কিলোমিটারের অঞ্চলটি হচ্ছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল। এটির এক প্রান্তে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আরেক প্রান্তে পুয়ের্তো রিকো এবং অপর প্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বারমুডা দ্বীপ অবস্থিত।
রহস্যময় এই অঞ্চলটির সঠিক রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। সেই কলম্বাসের সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত অঞ্চলটি রহস্যই থেকে গেছে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে কোনো জাহাজ প্রবেশ করলে তা রহস্যজনকভাবে কেন যে হারিয়ে যায়, সেটা অজানা থেকে গেছে।
যদিও রহস্য উন্মোচনে বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্ঠা থেমে নেই এবং নানা সময়েই বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় বারমুডা ট্রায়াঙ্গল অঞ্চলের রহস্যের সমাধানের দাবী করে আসলেও, আদতে তা ‘নানা মুনির নানা মত’ এর মতোই।
যেমন এ বছরের মার্চ মাসে নরওয়ের বিজ্ঞানীরা বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যের সমাধানের লক্ষ্য পৌঁছাতে পেরেছেন বলে দাবী করেছিলেন। তাদের মতে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে মিথেন গ্যাস সমৃদ্ধ আগ্নেয়গিরি মুখ বা বড় গর্ত থাকতে পারে, যেটা জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার ব্যাখা হতে পারে।
আর এবার যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গল রহস্যের আরো এক নতুন ব্যাখা। গবেষকদলের প্রধান ও স্যাটেলাইট বিশেষজ্ঞ ড. স্টিভ মিলার দাবী করেছেন, বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গেলের রহস্যের পিছনে রয়েছে সেখানকার ষড়ভুজাকৃতি মেঘ (হেক্সাগোনাল ক্লাউড)। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডা দ্বীপে ২০ থেকে ৫৫ মাইল জুড়ে ষড়ভুজাকৃতি মেঘ তৈরি করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বাতাস। যার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ মাইল। এই বাতাস প্রায় ৪৫ ফুট উচ্চতার ঝড় তৈরি করতে পারে। এই বাতাস বোমার ফলেই বারমুডা ট্রায়্যাঙ্গল দিয়ে যাওয়া জাহাজ বা প্লেন উধাও হয়ে যায়।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে গত ১০০ বছরে অন্তত ১০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। গড়ে প্রতিবছর এখানে ৪টি বিমান এবং ২০টি জাহাজ নিঁখোজ হয়েছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 Responses to “বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্য উন্মোচন!”
Post a Comment