Saturday, October 22, 2016
দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন শিগগির
Saturday, October 22, 2016 by Unknown
দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন শিগগির
পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীতে নির্মাণাধীন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন শিগগির চালু হতে যাচ্ছে।
এ স্টেশনের মাধ্যমে ১ হাজার, ৫০০, জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সুবিধাসহ নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হবে গোটা দেশ।
কক্সবাজারে প্রথম স্থাপিত সাবমেরিন স্টেশনের চেয়ে আট গুণ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে পটুয়াখালীতে নির্মাণাধীন সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি।
এ প্রকল্পটি চালু হলে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নেটওয়ার্ক দেশের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে প্রথম প্রকল্পটির লাইফ টাইম শেষে দ্বিতীয় প্রকল্প দিয়েই পুরো দেশে ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মাইটভাঙ্গা এলাকায় প্রকল্পটির নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
সাবমেরিন কেবল টেলিযোগাযোগ বিভাগের আঞ্চলিক প্রকল্প পরিচালক পারভেজ মনন আশরাফ জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি। ক্রমেই এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে কক্সবাজারে একটি মাত্র সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু এ সাবমেরিন স্টেশনটির কেবল লাইন কাটা পড়লে বিএসসিসিএলের কাছে নেটওয়ার্ক সরবরাহের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় গ্রাহকরা প্রায়ই দুর্ভোগের শিকার হন। ফলে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সংযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে বিএসসিসিএল। এর ফলে দ্রুতগতির নিরবচ্ছিন্ন নেটওয়ার্কে ইন্টারনেটসহ নানা সেবা পাবেন গ্রাহকরা।
প্রকল্প পরিচালক আরো জানান, পটুয়াখালীর কুয়াকাটার লতাচাপলি ইউনিয়নের আমখোলা গ্রামে ২০১৩ সালের শেষের দিকে ১০ একর জমির ওপর ৬৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের। প্রকল্পটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতিমধ্যে সাগরের নিচ দিয়ে ফ্রান্স থেকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত ২৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ কেবল লাইনের সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ইউরোপ থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে আসা সঞ্চালন লাইন সংযুক্তির জন্য ল্যান্ডিং স্টেশন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কুয়াকাটার স্টেশন থেকে মাত্র সাড়ে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে উপকূলের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে আসা লাইনটির সংযোগ স্থাপনের কাজ শেষ করেই চালু করা হবে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন স্টেশনটি।
এদিকে কর্তৃপক্ষের চলতি বছরের নভেম্বরে সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি চালু করার সিদ্ধান্ত থাকলেও ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে চালু করা হবে। কারণ বর্ষা মৌসুমে কেবল সংযোগের চূড়ান্ত কাজ শুরু করার পর বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা বন্ধ রাখা হয়। যা নভেম্বর মাসের শেষ দিকে সম্পন্ন করা হবে।
দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল স্টেশন চালু হলে ইন্টারনেট ব্যবহারে বর্তমানের চেয়ে গতি কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। শুধু ইন্টারনেট নয়, এটি চালু হলে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশ্বের সঙ্গে দেশের একটি নিবিড় বন্ধন তৈরি হবে। পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ খাতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। ল্যান্ডিং স্টেশনের সংযুক্তির মাধ্যমে ডাটার পরিধি বৃদ্ধি এবং দেশের তথ্যপ্রযুক্তির চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর সরবরাহ বৃদ্ধি করা হবে এবং সরকার এ খাতে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের সুযোগ পাবে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 Responses to “দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন শিগগির ”
Post a Comment