Tuesday, October 18, 2016
পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে চীনের কথায় হতাশ ভারত
Tuesday, October 18, 2016 by Unknown
পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে চীনের কথায় হতাশ ভারত
ব্রিকস সম্মেলন শেষ হওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের সরাসরি সমর্থনে নিজের অবস্থান পরিস্কার করলো চীন।
নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের জন্মদাতা হিসেবে তুলে ধরলেও বেইংজিং
মঙ্গলবার সরকারিভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা সে কথা মানতে নারাজ। খবর
আনন্দবাজারের।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং এক বিবৃতিতে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদকে কোনও একটা বিশেষ দেশ, ধর্ম বা জাতির সঙ্গে তুলনা করতে চায় না বেইজিং।
সবাই জানে, ভারত আর পাকিস্তান উভয় দেশই সন্ত্রাসের শিকার। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে পাকিস্তান অনেক পদক্ষেপ করছে, অনেক মূল্য দিতে হচ্ছে তাদের। পাকিস্তানের এ ভূমিকাকে ‘আন্তর্জাতিক মহলের সম্মান জানানো উচিত’ বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে যখন পাকিস্তানকে একঘরে করার কৌশল খুঁজছে নয়াদিল্লী তখন ইসলামাবাদ সম্পর্কে বেইংজিংয়ের এ ব্যাখ্যা মোদি সরকারের সামনে বড় কূটনৈতিক ধাক্কা। এর আগে পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী দেশের তালিকায় ভারতের ঢোকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ছিল চীন।
ব্রিকস সম্মেলন পরদিন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুঝিয়ে দেন যে, সন্ত্রাসের প্রশ্নে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার পদক্ষেপে তার সায় নেই।
ব্রিকসের মঞ্চ থেকে তিনি ভারতের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, সন্ত্রাস দমনের জন্য এর শিকড় কোথায় তা খুঁজে বের করতে হবে। মোদির ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, এই কথার মধ্য দিয়ে আসলে কাশ্মীরের কথাই সুকৌশলে উত্থাপন করেছে বেইংজিং।
ভারত মনে করছে, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমস্যাকে ব্রিকসের মতো বহুপাক্ষিক মঞ্চে টেনে নিয়ে এসে মোদি সেমসাইড গোল দিয়ে ফেলেছেন।
চীন সরকার অবশ্য নিজে থেকে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের জনক হিসেবে তুলে ধরায় এ দিন বেইজিংয়ে সাংবাদিকেরা চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন।
সেই প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু সন্ত্রাস প্রশ্নে যেভাবে প্রকাশ্যে ইসলামাবাদের পক্ষ নিচ্ছে চীন, তাতে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার দিল্লীর প্রয়াস ব্যর্থ করতে আরও এক কদম এগোল দেশটি।
Tags:
International
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং এক বিবৃতিতে বলেছেন, সন্ত্রাসবাদকে কোনও একটা বিশেষ দেশ, ধর্ম বা জাতির সঙ্গে তুলনা করতে চায় না বেইজিং।
সবাই জানে, ভারত আর পাকিস্তান উভয় দেশই সন্ত্রাসের শিকার। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে পাকিস্তান অনেক পদক্ষেপ করছে, অনেক মূল্য দিতে হচ্ছে তাদের। পাকিস্তানের এ ভূমিকাকে ‘আন্তর্জাতিক মহলের সম্মান জানানো উচিত’ বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি।
সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে যখন পাকিস্তানকে একঘরে করার কৌশল খুঁজছে নয়াদিল্লী তখন ইসলামাবাদ সম্পর্কে বেইংজিংয়ের এ ব্যাখ্যা মোদি সরকারের সামনে বড় কূটনৈতিক ধাক্কা। এর আগে পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী দেশের তালিকায় ভারতের ঢোকার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ছিল চীন।
ব্রিকস সম্মেলন পরদিন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুঝিয়ে দেন যে, সন্ত্রাসের প্রশ্নে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার পদক্ষেপে তার সায় নেই।
ব্রিকসের মঞ্চ থেকে তিনি ভারতের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, সন্ত্রাস দমনের জন্য এর শিকড় কোথায় তা খুঁজে বের করতে হবে। মোদির ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, এই কথার মধ্য দিয়ে আসলে কাশ্মীরের কথাই সুকৌশলে উত্থাপন করেছে বেইংজিং।
ভারত মনে করছে, পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সমস্যাকে ব্রিকসের মতো বহুপাক্ষিক মঞ্চে টেনে নিয়ে এসে মোদি সেমসাইড গোল দিয়ে ফেলেছেন।
চীন সরকার অবশ্য নিজে থেকে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের জনক হিসেবে তুলে ধরায় এ দিন বেইজিংয়ে সাংবাদিকেরা চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন।
সেই প্রশ্নেরই জবাব দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু সন্ত্রাস প্রশ্নে যেভাবে প্রকাশ্যে ইসলামাবাদের পক্ষ নিচ্ছে চীন, তাতে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার দিল্লীর প্রয়াস ব্যর্থ করতে আরও এক কদম এগোল দেশটি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 Responses to “পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে চীনের কথায় হতাশ ভারত”
Post a Comment