Saturday, November 12, 2016

আবারও মাহমুদউল্লাহর শেষ ওভারের জাদু

আবারও মাহমুদউল্লাহর শেষ ওভারের জাদু
 
খুলনা টাইটানস মানেই বাড়তি রোমাঞ্চ। খুলনা মানেই অভাবনীয় কাণ্ড! নিজেদের প্রথম ম্যাচে তারা রাজশাহীর বিপক্ষে তিন রানের অকল্পনীয় জয় পেয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে আবার বিপিএলের সর্বনিু ৪৪ রানে অলআউট হয় খুলনা। এবার মাহমুদউল্লাহর শেষ ওভারের জাদুতে তারা পেল চার রানের আরেকটি রোমাঞ্চকর জয়। এখন যদি কেউ বলেন, শেষ ওভারের সেরা বোলার মাহমুদউল্লাহ, সেটা সহজে কেউ উড়িয়ে দিতে পারবেন না।
 
 
 নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে শেষ ওভারে তিন রান দিয়ে তুলে নেন তিন উইকেট। সেদিন জয়ের জন্য শেষ ওভারে রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল সাত রান, হাতে ছিল তিন উইকেট। কাল খুলনার বিপক্ষে শেষ ওভারে চার উইকেট হাতে নিয়ে চিটাগাং ভাইকিংসের দরকার ছিল ছয় রান। এবার মাহমুদউল্লাহ এক রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট! চিটাগাং হেরেছে চার রানে। মাত্র ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েও চিটাগাংকে ১২৩ রানে আটকে দিল খুলনা। প্রথম ম্যাচ জেতার পর টানা দুই ম্যাচে হারল তামিম ইকবালের দল। অন্যদিকে তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল মাহমুদউল্লাহর খুলনা।
আগের ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া দলের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল কালও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। আউট হন কেভন কুপারের বলে। প্রথম দুই ম্যাচে ইনজুরির কারণে দলে ছিলেন না কুপার। এবার একাদশে জায়গা পেয়েই প্রথম ওভারে তুলে নিলেন তামিমকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফেরান আরেক ওপেনার ডুয়ানে স্মিথকে। 
 
১১.৫ ওভারে ৫৫ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে চিটাগাং। ছোট লক্ষ্যটাও তখন বড় হয়ে যায় চিটাগাংয়ের কাছে। এরপর দলীয় ৭৮ রানের সময় ১৮ বলে ২৫ রান করা জহুরুল ইসলাম আউট হলে জয়ের পাল্লাটা খুলনার দিকেই হেলে পড়ে। শেষ পর্যন্ত চিটাগাংকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান মোহাম্মদ নবী ও চাতুরঙ্গ ডি সিলভা। 
 
কিন্তু মাহমুদউল্লাহর শেষ ওভারের জাদু গুঁড়িয়ে দিল চিটাগাংয়ের স্বপ্ন। ছয় বলে প্রয়োজন ছয় রান। উইকেটে দুই সেট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী ও চাতুরঙ্গা। মাহমুদউল্লাহর প্রথম বলে একটি রান নিয়ে নেন নবী। দ্বিতীয় বলেই আউট চাতুরঙ্গা। শেষ চার বলে আর কোনো রান নেই, তবে আউট হয়েছেন দু’জন। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৩ রানে থেমে গেল চিটাগাং। তবে তামিমের দল এ পর্যন্ত আসতে পেরেছে খুলনার ব্যাটিং ব্যর্থতায়।

খুলনার ব্যাটিং অর্ডার কতটা দুর্বল সেটা বোঝা গেছে আগের ম্যাচেই। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তারা মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়। প্রথম ম্যাচে খুলনা করেছিল ১৩২ রান। কাল তৃতীয় ম্যাচে করল সাত উইকেটে ১২৭। আগের দুই ম্যাচের ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কাল ব্যাটিং অর্ডারে বেশ কিছু পরিবর্তনও আনে খুলনা। সুযোগ পেয়েছেন হাসানুজ্জামান ও কেভন কুপার। তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। তারা চার উইকেট হারায় ৫২ রানের মধ্যেই। ওপেনার রিকি ওয়েসেলস করেন ২৮ রান। এরপর অলক কাপালীর ৩৫ বলে ২৩ রানে ঘুরে দাঁড়ায় খুলনা। পরে নিকোলাস পুরানের ৩০ বলে ২৯ এবং আরিফুর হকের ১৬ বলে অপরাজিত ২৫ রানে ১২৭ তুলতে পারে খুলনা। চিটাগাং ভাইকিংসের পক্ষে কালও সেরা বোলার ছিলেন মোহাম্মদ নবী। খুলনার টপ-অর্ডারে ধস নামিয়েছেন মূলত এই আফগান স্পিনারই। ২২ রানে তিন উইকেট

নেন তিনি। এছাড়া ১৭ রানে দুই উইকেট নেন তাসকিন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

খুলনা টাইটান্স ১২৭/৭, ২০ ওভারে (ওয়েসেলস ২৮, অলক কাপালী ২৩, পুরান ২৯, আরিফুল হক* ২৫। মোহাম্মদ নবী ৩/২২, তাসকিন ২/১৭)।

চিটাগাং ভাইকিংস ১২৩/৯, ২০ ওভারে (এনামুল হক ১৪,

জহুরুল ইসলাম ২৫, মোহাম্মদ নবী ৩৯, সিলভা ১৯। কেভন কুপার ২/১৭, শফিউল ৪/২৮, মাহমুদউল্লাহ ৩/২৪)।

ফল : খুলনা ৪ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ :

মাহমুদউল্লাহ (খুলনা)।
 
সৌজন্যে -যুগান্তর

Tags:

0 Responses to “আবারও মাহমুদউল্লাহর শেষ ওভারের জাদু”

Post a Comment

Donec sed odio dui. Duis mollis, est non commodo luctus, nisi erat porttitor ligula, eget lacinia odio. Duis mollis

© 2013 Shotter sondhane bd news 24. All rights reserved.
Designed by SpicyTricks