Recent Articles
Saturday, November 12, 2016
Saturday, November 12, 2016
- 0 Comments
আবারও মাহমুদউল্লাহর শেষ ওভারের জাদু
![আবারও মাহমুদউল্লাহর শেষ ওভারের জাদু](http://www.jugantor.com/assets/images/news_images/2016/11/13/thumbnails/2_76295.jpg)
খুলনা টাইটানস মানেই বাড়তি রোমাঞ্চ। খুলনা মানেই অভাবনীয় কাণ্ড! নিজেদের
প্রথম ম্যাচে তারা রাজশাহীর বিপক্ষে তিন রানের অকল্পনীয় জয় পেয়েছিল।
দ্বিতীয় ম্যাচে আবার বিপিএলের সর্বনিু ৪৪ রানে অলআউট হয় খুলনা। এবার
মাহমুদউল্লাহর শেষ ওভারের জাদুতে তারা পেল চার রানের আরেকটি রোমাঞ্চকর জয়।
এখন যদি কেউ বলেন, শেষ ওভারের সেরা বোলার মাহমুদউল্লাহ, সেটা সহজে কেউ
উড়িয়ে দিতে পারবেন না।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে শেষ
ওভারে তিন রান দিয়ে তুলে নেন তিন উইকেট। সেদিন জয়ের জন্য শেষ ওভারে
রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল সাত রান, হাতে ছিল তিন উইকেট। কাল খুলনার বিপক্ষে শেষ
ওভারে চার উইকেট হাতে নিয়ে চিটাগাং ভাইকিংসের দরকার ছিল ছয় রান। এবার
মাহমুদউল্লাহ এক রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট! চিটাগাং হেরেছে চার রানে।
মাত্র ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েও চিটাগাংকে ১২৩ রানে আটকে দিল খুলনা। প্রথম
ম্যাচ জেতার পর টানা দুই ম্যাচে হারল তামিম ইকবালের দল। অন্যদিকে তিন
ম্যাচে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল মাহমুদউল্লাহর খুলনা।
আগের ম্যাচে ব্যর্থ হওয়া দলের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল কালও বড় ইনিংস
খেলতে পারেননি। আউট হন কেভন কুপারের বলে। প্রথম দুই ম্যাচে ইনজুরির কারণে
দলে ছিলেন না কুপার। এবার একাদশে জায়গা পেয়েই প্রথম ওভারে তুলে নিলেন
তামিমকে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফেরান আরেক ওপেনার ডুয়ানে স্মিথকে।
১১.৫
ওভারে ৫৫ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে চিটাগাং। ছোট লক্ষ্যটাও তখন বড় হয়ে
যায় চিটাগাংয়ের কাছে। এরপর দলীয় ৭৮ রানের সময় ১৮ বলে ২৫ রান করা জহুরুল
ইসলাম আউট হলে জয়ের পাল্লাটা খুলনার দিকেই হেলে পড়ে। শেষ পর্যন্ত চিটাগাংকে
জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান মোহাম্মদ নবী ও চাতুরঙ্গ ডি সিলভা।
কিন্তু
মাহমুদউল্লাহর শেষ ওভারের জাদু গুঁড়িয়ে দিল চিটাগাংয়ের স্বপ্ন। ছয় বলে
প্রয়োজন ছয় রান। উইকেটে দুই সেট ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবী ও চাতুরঙ্গা।
মাহমুদউল্লাহর প্রথম বলে একটি রান নিয়ে নেন নবী। দ্বিতীয় বলেই আউট
চাতুরঙ্গা। শেষ চার বলে আর কোনো রান নেই, তবে আউট হয়েছেন দু’জন। ২০ ওভারে ৯
উইকেটে ১২৩ রানে থেমে গেল চিটাগাং। তবে তামিমের দল এ পর্যন্ত আসতে পেরেছে
খুলনার ব্যাটিং ব্যর্থতায়।
খুলনার ব্যাটিং অর্ডার কতটা দুর্বল সেটা বোঝা গেছে আগের ম্যাচেই। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তারা মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়। প্রথম ম্যাচে খুলনা করেছিল ১৩২ রান। কাল তৃতীয় ম্যাচে করল সাত উইকেটে ১২৭। আগের দুই ম্যাচের ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কাল ব্যাটিং অর্ডারে বেশ কিছু পরিবর্তনও আনে খুলনা। সুযোগ পেয়েছেন হাসানুজ্জামান ও কেভন কুপার। তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। তারা চার উইকেট হারায় ৫২ রানের মধ্যেই। ওপেনার রিকি ওয়েসেলস করেন ২৮ রান। এরপর অলক কাপালীর ৩৫ বলে ২৩ রানে ঘুরে দাঁড়ায় খুলনা। পরে নিকোলাস পুরানের ৩০ বলে ২৯ এবং আরিফুর হকের ১৬ বলে অপরাজিত ২৫ রানে ১২৭ তুলতে পারে খুলনা। চিটাগাং ভাইকিংসের পক্ষে কালও সেরা বোলার ছিলেন মোহাম্মদ নবী। খুলনার টপ-অর্ডারে ধস নামিয়েছেন মূলত এই আফগান স্পিনারই। ২২ রানে তিন উইকেট
নেন তিনি। এছাড়া ১৭ রানে দুই উইকেট নেন তাসকিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইটান্স ১২৭/৭, ২০ ওভারে (ওয়েসেলস ২৮, অলক কাপালী ২৩, পুরান ২৯, আরিফুল হক* ২৫। মোহাম্মদ নবী ৩/২২, তাসকিন ২/১৭)।
চিটাগাং ভাইকিংস ১২৩/৯, ২০ ওভারে (এনামুল হক ১৪,
জহুরুল ইসলাম ২৫, মোহাম্মদ নবী ৩৯, সিলভা ১৯। কেভন কুপার ২/১৭, শফিউল ৪/২৮, মাহমুদউল্লাহ ৩/২৪)।
ফল : খুলনা ৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ :
মাহমুদউল্লাহ (খুলনা)।
খুলনার ব্যাটিং অর্ডার কতটা দুর্বল সেটা বোঝা গেছে আগের ম্যাচেই। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তারা মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়। প্রথম ম্যাচে খুলনা করেছিল ১৩২ রান। কাল তৃতীয় ম্যাচে করল সাত উইকেটে ১২৭। আগের দুই ম্যাচের ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কাল ব্যাটিং অর্ডারে বেশ কিছু পরিবর্তনও আনে খুলনা। সুযোগ পেয়েছেন হাসানুজ্জামান ও কেভন কুপার। তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। তারা চার উইকেট হারায় ৫২ রানের মধ্যেই। ওপেনার রিকি ওয়েসেলস করেন ২৮ রান। এরপর অলক কাপালীর ৩৫ বলে ২৩ রানে ঘুরে দাঁড়ায় খুলনা। পরে নিকোলাস পুরানের ৩০ বলে ২৯ এবং আরিফুর হকের ১৬ বলে অপরাজিত ২৫ রানে ১২৭ তুলতে পারে খুলনা। চিটাগাং ভাইকিংসের পক্ষে কালও সেরা বোলার ছিলেন মোহাম্মদ নবী। খুলনার টপ-অর্ডারে ধস নামিয়েছেন মূলত এই আফগান স্পিনারই। ২২ রানে তিন উইকেট
নেন তিনি। এছাড়া ১৭ রানে দুই উইকেট নেন তাসকিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইটান্স ১২৭/৭, ২০ ওভারে (ওয়েসেলস ২৮, অলক কাপালী ২৩, পুরান ২৯, আরিফুল হক* ২৫। মোহাম্মদ নবী ৩/২২, তাসকিন ২/১৭)।
চিটাগাং ভাইকিংস ১২৩/৯, ২০ ওভারে (এনামুল হক ১৪,
জহুরুল ইসলাম ২৫, মোহাম্মদ নবী ৩৯, সিলভা ১৯। কেভন কুপার ২/১৭, শফিউল ৪/২৮, মাহমুদউল্লাহ ৩/২৪)।
ফল : খুলনা ৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ :
মাহমুদউল্লাহ (খুলনা)।
সৌজন্যে -যুগান্তর
হিলারির কান্না থামছিল না’
![‘হিলারির কান্না থামছিল না’](http://www.jugantor.com/assets/images/news_images/online/2016/11/13/hillary_30514_1478984994.jpg)
পরাজয়ের খবর জানতে পেরে কান্না সংবরণ করতে পারেননি হিলারি ক্লিনটন। তিনি অঝোরে কাঁদছিলেন।
জনপ্রিয় রক্ষণশীল লেখক এড ক্লেইন নিউজম্যাক্স টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছেন।
ক্লেইন দাবি করেন, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হিলারি তার এক পুরনো বন্ধুকে ফোন করেন। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার কান্না থামানো যাচ্ছিল না। তাকে সান্ত্বনা দেয়াও কঠিন ছিল।
হিলারির ওই নারী বন্ধু বলেন, তিনি এত বেশি কান্না করছিলেন যে তিনি কী বলছেন তা বোঝা যাচ্ছিল না। পরে হিলারি তার পরাজয়ের জন্য এফবিআই পরিচালক জেমস কমেকে দায়ী করেন।
তিনি ওবামারও সমালোচনা করেন যে, প্রেসিডেন্ট তার জন্য যথেষ্ট করেননি। ওবামার দোষ কী জানতে চাইলে হিলারি বলেন, প্রেসিডেন্ট জেমস কমেকে আগেই থামাতে পারতেন। বিল ক্লিনটন এমনটাই বলেছেন।
ক্লেইন দাবি করেন, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে হিলারি তার এক পুরনো বন্ধুকে ফোন করেন। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার কান্না থামানো যাচ্ছিল না। তাকে সান্ত্বনা দেয়াও কঠিন ছিল।
হিলারির ওই নারী বন্ধু বলেন, তিনি এত বেশি কান্না করছিলেন যে তিনি কী বলছেন তা বোঝা যাচ্ছিল না। পরে হিলারি তার পরাজয়ের জন্য এফবিআই পরিচালক জেমস কমেকে দায়ী করেন।
তিনি ওবামারও সমালোচনা করেন যে, প্রেসিডেন্ট তার জন্য যথেষ্ট করেননি। ওবামার দোষ কী জানতে চাইলে হিলারি বলেন, প্রেসিডেন্ট জেমস কমেকে আগেই থামাতে পারতেন। বিল ক্লিনটন এমনটাই বলেছেন।
সৌজন্যে -যুগান্তর
আইএসের দায় স্বীকার
পাকিস্তানে মাজারে হামলায় নিহত ৫২
![পাকিস্তানে মাজারে হামলায় নিহত ৫২](http://www.jugantor.com/assets/images/news_images/online/2016/11/13/shah_noorani_shrine_explosion_30510_1478979307.png)
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে এক পীরের মাজারে শনিবার সন্ধ্যায় বোমা
বিস্ফোরণে অন্তত ৫২ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। হতাহতদের মধ্যে নারী
ও শিশু রয়েছে। বেলুচিস্তানের প্রত্যন্ত খুজদার জেলার শাহ নূরানী নামে ওই
মাজারে বিস্ফোরণটি ঘটে। করাচি শহরে নামকরা সুফি গায়ক আমজাদ সাবরিকে গুলি
করে হত্যার কয়েক মাস পর এ ঘটনা ঘটল।
শনিবারের ভয়াবহ হামলার পর দায় স্বীকার করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস (ইসলামিক
স্টেট)। আইএস পরিচালিত ‘আমাক’ নিউজ এজেন্সিতে এ হামলার দায় স্বীকার করে
বিবৃতি দেয় সংগঠনটি।
বিবিসি, এএফপি ও ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুফি মতবাদীদের শাহ নূরানী মাজারে প্রতিদিনই সূর্যাস্তের সময় ভক্তদের নাচ হয়। এ নাচকে বলে ধামাল, দলবদ্ধ এ নাচের সময় ভক্তরা একটা ঘোরের মধ্যে চলে যান। প্রতিদিনের মতো শনিবারও নাচের সময় বিস্ফোরণটি হয়। ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে ছুটে যান এবং এলাকাটি ঘিরে ফেলেন।
বিস্ফোরণে আহতদের করাচি শহরের হাসপাতালগুলোতে নেয়া হয়। বহু হতাহতের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় করাচি ও খুজদারের হাসপাতালগুলোতে। তবে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রত্যন্ত ওই এলাকায় পৌঁছতে হিমশিম খেতে হয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এ হামলার তীব্র নিন্দা জানান।
মাজারে বিস্ফোরণে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মীর সরফরাজ আহমেদ বাগতি। তিনি এ হামলার জন্য বাইরের দেশের সংশ্লিষ্টতার দিকে ইঙ্গিত করেন। যদিও হামলাটি আত্মঘাতী নাকি অন্য কেউ গিয়ে হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুশিয়ারি দেন, যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবে কেউ হামলার সুযোগ নেয়, তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, শাহ নূরানী মাজার এলাকাটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় সেখানে ভালো কোনো হাসপাতাল নেই। এজন্য গুরুতর আহতদের করাচি হাসপাতালে পাঠানো হবে।
খুজদার এলাকার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা আবদুল হাকিম লাসি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় শাহ নূরানী মাজারে ৬শ’রও বেশি লোক দলবদ্ধ নাচ দেখছিলেন। এমন সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের পর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে উদ্ধার তৎপরতায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। মাজারটিতে জেনারেটরের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হতো।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ টুইটে জানায়, বিস্ফোরণের পরই সেনাপ্রধান রাহিল শরিফের নির্দেশে সেনাবাহিনী ও চিকিৎসক দল মাজারের উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় যেতে বেগ পোহাতে হয় তাদের। হতাহতদের দ্রুত উদ্ধারের নির্দেশ দেন সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলীও। তার নির্দেশে ঘটনাস্থলে ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স রওনা দেয়।
ন্যাশনাল পার্টির সভাপতি মীর হাসিল বিজেনজো বলেন, আহতদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যদি হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা না করে তাহলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। বেলুচিস্তান প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র আনোয়ার কাকার জানান, আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য প্রাদেশিক সরকারের কাছে কোনো হেলিকপ্টার নেই।
সুফিবাদকে ইসলাম ধর্মের একটি সহিষ্ণু এবং আধ্যাত্মিক ধারা বলে মানা হয়। কিন্তু চরমপন্থীরা এর বিরোধী। বেলুচিস্তান প্রদেশে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো এ বছর একাধিকবার বেসামরিক লোকদের লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। অক্টোবরে কোয়েটা শহরে একটি পুলিশ কলেজে হামলায় বহু লোক নিহত হন। এর আগে আগস্টে আক্রমণ চালানো হয় একটি হাসপাতালে। এতে মারা যান ৭০ জন।
সৌজন্যে -যুগান্তর
Friday, October 28, 2016
Friday, October 28, 2016
- 0 Comments
উইকেটের তেমন পরিবর্তন দেখছন না মঈন
![]() |
মিরপুর থেকে: মিরপুরে
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে দিনের প্রথম সেশনে
বাংলাদেশর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল উইকেট যথেষ্টই ফ্ল্যাট। বল বেশ ভালই
ব্যাটে আসছিলো। সেই সুবাদে টাইগার ব্যাটসম্যনেরাও বেশ স্বাচ্ছন্দেই
খেলছিলেন।
কিন্তু দিনের দ্বিতীয় সেশনেই উইকেটের ভিন্ন রুপ দেখা গেল। সময়ের
সঙ্গে আচরণ বদলে মন্থর হয়ে উঠলো মিরপুরের উইকেট। বাড়তে থাকলো স্পিনারদের
টার্ন আর রিভার্স সুইয়ং পেতে শুরু করলেন ইংলিশ পেসাররা। উইকেটের এমন
আচরণের জন্যই ২২০ রানে গুটিয়েছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
কিন্তু মঈন আলী মনে করছেন না যে মিরপুরের উইকেটের তেমন কোন পরিবর্তন
হয়েছে। ‘আমার মনে হয় না উইকেটের আচরণ খুব বেশি বদলেছে। মূল ব্যাপার হলো
আমরাই প্রথম সেশনে ভাল বল করতে পারিনি। তবে একথা ঠিক যে প্রথম টেস্টে
চট্টগ্রামে স্পিন বোলিংয়ের আধিপত্য ছিল। কিন্তু এখানকার উইকেটে আমার কাছে
সোজা বোলিংকেই বেশি ভয়ংকর মনে হচ্ছে।’
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সতীর্থ বেন স্টোকসের বোলিংয়ের প্রশংসা করে এ সময় মঈন আলী আরও বলেন, ‘.‘ও
দারুণ বল করেছে। বলের ওপরে ওর নিয়ন্ত্রণ, গতি ও সময়োপযোগি দুই উইকেট ছিল
আমাদের দলের জন্য দারুণ কার্যকর।’
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে বোলারদের আধিপত্য
![]() |
মিরপুর থেকে:
স্বাগতিক
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ২২০ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপাকে পড়ে
সফরকারী ইংল্যান্ড। বৃষ্টি বাধায় প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে সফরকারীরা
তিন উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৫০ রান। স্বাগতিকদের থেকে ১৭০ রান পিছিয়ে
ইংলিশরা, হাতে আছে ৭টি উইকেট। প্রথম দিনই দুই দলের ১৩টি উইকেটের পতন ঘটে।
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার
সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে
ইনিংস শুরু করেন তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই বিদায়
নেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। ক্রিস ওকসের লাফিয়ে ওঠা বলে শট নিয়ে
ব্যক্তিগত ১ রানে বেন ডাকেটের হাতে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন ইমরুল।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সকাল ১০টায় দ্বিতীয় টেস্টে
মুখোমুখি হয় সফরকারী ইংল্যান্ড আর স্বাগতিক বাংলাদেশ। ইংলিশদের বিপক্ষে
চট্টগ্রাম টেস্টে জিততে জিততেও হেরেছে টাইগাররা। লড়াই করে অভিজ্ঞ ইংলিশদের
বিপক্ষে বাংলাদেশের হারটি ছিল রানের দিক দিয়ে সর্বনিম্ন (২২ রানের)।
![](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/100-runs-bg20161028170447.jpg)
২৩তম
ওভারে গিয়ে বাংলাদেশের দলীয় শতক আসে। দিনের প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের
সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান। তামিম-মুমিনুলের দৃঢ়তায় লাঞ্চে যায়
বাংলাদেশ। বিরতির পর আবারো দারুণ শুরু করেন তামিম-মুমিনুল। ৭১ বলে নিজের
দশম অর্ধশতকের দেখা পান মুমিনুল। আদিল রশিদকে চার হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত ৫০
করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
শুরু থেকে সতর্ক তামিম নিজের প্রথম রান নেন ২০তম বলে। ধীরে শুরু করলেও
দ্রুতই খোলস ছেড়ে বের হন তামিম। দলীয় ৫০ রান উঠতেই তার ব্যাট থেকে ৫টি
বাউন্ডারির মার দেখা যায়। সাতটি চারের সাহায্যে ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দেখা
পান তামিম। সাদা পোশাকে তামিমের সেটি ছিল ২০তম অর্ধশতক।
আর তা ছুঁতে এই
বাঁহাতির লাগে মাত্র ৬০ বল। অর্ধশতককে টেনে নিতে লাঞ্চের পর টেস্ট
ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি পূরণ করেন তামিম ইকবাল। ৪৪তম ম্যাচে এসে তিন
অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। ১৩৯ বলে ১২টি চারের সাহায্যে তিনি
শতক পূর্ণ করেন।
ইনিংসের ৪২তম ওভারে মঈন আলীর বলে এলবির ফাঁদে পড়েন তামিম। আউট হওয়ার আগে
টাইগার এই ওপেনার ১৪৭ বলে ১২টি বাউন্ডারিতে ১০৪ রান করেন। মুমিনুলের সঙ্গে
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে স্কোরবোর্ডে ১৭০ রান যোগ করেন তামিম। দলীয় ১৭১ রানের
মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে টাইগারদের।
![](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/muminun-pic-bg20161028170514.jpg)
এরপর জুটি গড়তে পারেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর সাকিব আল হাসান। এক চার
আর সমান ছয়ে ব্যক্তিগত ১৩ রান করে বিদায় নেন রিয়াদ। তার আগে সাকিবের সঙ্গে
মাত্র ৬ রান যোগ করতে পারেন স্কোরবোর্ডে।
দলীয় ১৯৬ রানের মাথায় টাইগারদের
চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে। ইনিংসের ৫১তম ওভারে বেন স্টোকসের লাফিয়ে ওঠা বলে
কোনো ফুটওয়ার্ক ছাড়াই ব্যাট ঠেলে দেন রিয়াদ। স্লিপে দাঁড়ানো অ্যালিস্টার
কুকের কোনো সমস্যাই হয়নি সেটি তালুবন্দি করতে। যেন কুককে স্লিপ ক্যাচের
অনুশীলন করাচ্ছিলেন রিয়াদ!
![](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/Tamim-iqbal-bg20161028170536.jpg)
সাকিব-মুশফিকও
পারেননি দলকে ভালো ভাবে টেনে নিতে। আগের ওভারে বেন স্টোকসের একটি ডেলিভারি
মাথায় আঘাত করলেও খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ৫০তম টেস্ট খেলতে নামা
মুশফিক। তবে, পরের ওভারেই মঈন আলীর বলে কুকের হাতে ধরা পড়েন ৪ রান করা
মুশফিক। ২০১ রানের মাথায় বাংলাদেশের পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে। স্কোরবোর্ডে ১
রান যোগ হতেই স্টোকসের বলে উইকেটের পেছনে বেয়ারস্টোর হাতে ধরা পড়েন সাব্বির
(০)।
দ্বিতীয় সেশনের বিরতির আগে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ২০৫ রান।
চা পানের বিরতির পর শুভাগত হোম ও মেহেদি হাসান মিরাজের উইকেট হারায়
বাংলাদেশ।
ক্রিস ওকসের বলে উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন
শুভাগত। কোনো ফুটওয়ার্ক না থাকায় জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্রিস ওকসের অফ স্টাম্পের
বাইরের হাফ ভলি খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন ১৮ বলে ৬ রান করা
শুভাগত। আর মঈন আলীর বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মিরাজ। মিরাজের উইকেটটি
আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা প্রথমে আউট না দিলে ইংল্যান্ড রিভিউয়ের আবেদন
জানায়। পরে থার্ড আম্পায়ারের নির্দেশে আউট হন এক রান করা মিরাজ।
![](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/Ban-bat-15-bg20161028170609.jpg)
ইংলিশ স্পিনার মঈন আলী নেন ৫টি উইকেট। ক্রিস ওকস তিনটি আর বেন স্টোকস নেন দুটি উইকেট।
ইংলিশদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন দলপতি অ্যালিস্টার কুক এবং বেন ডাকেট।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিং আক্রমণে আসেন সাকিব। দলের দ্বিতীয় ও নিজের
প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। বেন ডাকেটকে করা দ্বিতীয়
বলে ছক্কা হজম করেন তিনি। তবে, ইনিংসের পঞ্চম বলে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি
হতে হয় ৭ রান করা ডাকেটকে। দলীয় ১০ রানের মাথায় ইংলিশরা নিজেদের প্রথম
উইকেট হারায়।
![](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/7-over-bg20161028170638.jpg)
এরপর
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আক্রমণের ধারাবাহিকতায় মেহেদি ফিরিয়ে দেন দলপতি
অ্যালিস্টার কুককে। এলবির ফাঁদে পড়েন ব্যক্তিগত ১৪ রান করা কুক। আম্পায়ার
ধর্মসেনা প্রথমে আউট না দিলেও রিভিউয়ের আবেদন থেকে উইকেটটি দখল করেন
মেহেদি। তৃতীয় উইকেটটিও তুলে নেন মেহেদি। ইনিংসের ১১তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন
গ্যারি ব্যালান্স। ১৮ বলে ৯ রান করে মুশফিকের তালুবন্দি হন ব্যালান্স। দলীয়
৪২ রানের মাথায় ইংলিশদের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।
চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের।
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে তামিম-মুমিনুল দলকে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দিলেও
মিডলঅর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৬৩.৫ ওভারে ২২০ রান তুলে অলআউট হয়
স্বাগতিকরা। অথচ তামিম-মুমিনুল দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ১৭০ রান। শেষ ৪৯
রানেই বাংলাদেশ নয় উইকেট হারায়। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭ রানে
শেষ ৬ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
গত ম্যাচের একাদশ থেকে নেই শুধু পেসার শফিউল ইসলাম। তার জায়গায় এই
ম্যাচে এসেছেন শুভাগত হোম। এদিকে, ইংলিশ দলে দুই পরিবর্তন এসেছে। পেসার
স্টুয়ার্ট ব্রডকে বিশ্রাম দিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে স্টিভেন ফিনকে। আর স্পিনার
গ্যারেথ ব্যাটির জায়গায় এসেছেন আরেক স্পিনার জাফর আনসারি। এটি আনসারির
অভিষেক টেস্ট।
![](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/six20161028170814.jpg)
বাংলাদেশ একাদশ:
তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক),
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ,
তাইজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম রাব্বি, শুভাগত হোম।
ইংল্যান্ড একাদশ: অ্যালিস্টার কুক (অধিনায়ক), বেন
ডাকেট, জো রুট, গ্যারি ব্যালান্স, মঈন আলি, জনি বেয়ারস্টো, আদিল রশিদ, জাফর
আনসারি, ক্রিস ওকস, বেন স্টোকস, স্টিফেন ফিন।
ইয়েমেনের বিদ্রোহীরা মক্কার দিকে ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়েছিল বলে অভিযোগ
ইয়েমেনের শিয়া বিদ্রোহীরা মক্কার দিকে ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়েছিল বলে অভিযোগ করেছে সৌদি আরব।
এই
ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রটি মক্কার ৬৫ কিলোমিটার দূরেই ধ্বংস করে দেয়া
হয় বলে দাবি করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস এই খবর
দিচ্ছে।
তবে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা দাবি করছে তারা এই
ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল সৌদি আরবের অনেক ভেতরে এক আন্তর্জাতিক বিমান
বন্দর লক্ষ্য করে।
সৌদিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ক্ষেপনাস্ত্র হামলার
বিরুদ্ধে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অনেকে হুথিদের ধর্মবিশ্বাস
নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
সৌদি সামরিক সূত্রগুলো বলছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাদা প্রদেশ থেকে এই ক্ষেপনাস্ত্র ছোঁড়া হয়।
সৌদি আরব সাধারণত তাদের মার্কিন নির্মিত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে এসব হামলার মোকাবেলা করে।
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের কাছে আছে সাবেক সোভিয়েত নির্মিত স্কাড ক্ষেপনাস্ত্র।
হুথি
বিদ্রোহীরা দাবি করছে তারা জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমান
বন্দর লক্ষ্য করে একটি ভলকানো-ওয়ান ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
বিবিসি ন্যাভিগেশন
জনগণের দুঃখ-দুর্দশা সরকারকে জানানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
![]() |
ঢাকা: জনগণের যাবতীয় সমস্যা ও
দুঃখ-দুর্দশা খুঁজে বের করে তা সরকারকে জানাতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের
নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত
আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে এ
নির্দেশনা দেন। শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি একটি
প্রতিষ্ঠান। জন্মলগ্ন থেকে দলটি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও ভাগ্যোন্নয়নে কাজ
করে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,
আওয়ামী লীগ দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। এখন দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও
আনতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে
হবে।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের কথা তুলে ধরে বলেন, আমাদের
লক্ষ্য দ্রুত দেশকে উন্নত করা। এজন্য দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে।
সেজন্য সরকারের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর
রহমানের হাত ধরে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা
রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব নেয়। দীর্ঘ ২১ বছর তারা ক্ষমতায় থেকে দেশকে
অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতে চেয়েছিল। যেন বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল
ভোগ করতে না পারে। স্বাধীনতার নীতি-আদর্শ ধ্বংস করাই ছিল তাদের কাজ।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশ সঠিক
ধারায় ফিরে আসে। সরকার যে জনগণের সেবক তা উপলব্ধি করতে শুরু করে দেশের
মানুষ। আমরা দেশ ও জনগণের সেবা করার ব্রত নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি।
সভায় আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ
সভাপতিমণ্ডলীর ১৬ সদস্যের (ঘোষিত) মধ্যে ১৫ সদস্যই (সভাপতিসহ) অংশ নিয়েছেন।
এরা হলেন- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম,
মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার
মোশাররফ হোসেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর
রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, রমেশ চন্দ্র ও পীষুষ কান্তি
ভট্টাচার্য। অংশ নেননি কেবল পারিবারিক কারণে ১৫ দিনের ছুটিতে লন্ডনে যাওয়া
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
Subscribe to:
Posts (Atom)