Saturday, October 15, 2016
১৯৮১ থেকে ২০১৬, আর কত?'
Saturday, October 15, 2016 by Unknown
১৯৮১ থেকে ২০১৬, আর কত?'
গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি- যুগান্তর
আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিলে নতুন নেতা নির্বাচন করতে নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।
শনিবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সভায় উপস্থিত দলীয় নেতাদের আসন্ন কাউন্সিলে নতুন নেতা নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, '১৯৮১ থেকে ২০১৬, আর কত?'
এসময় দলীয় নেতারা আবারও তাকেই দায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ করেন।
চার বছর পর আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর এ কমিটির সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, 'জাতির দুর্ভাগ্য যে, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল এবং ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গিয়েছিল, তাদের মুখে এখন গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়।'
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'বিদেশী কেউ আসলে তাদের কাছে গিয়ে বলে- দেশে গণতন্ত্র নাই। সন্দেহ আছে- তারা গণতন্ত্রের সংজ্ঞা ও বানান জানে কি না?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জিয়াউর রহমান সংবিধান লংঘন করে, সেনা আইন ভঙ্গ করে অবৈধ এবং অগণতান্ত্রিকভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করেছিলেন।'
'আর খালেদা জিয়া নিজে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন, ভোট চুরি করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন। তারা যুদ্ধাপরাধীদের মদদদাতা' যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, 'তারা (বিএনপি) মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিন খেলেছে, আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়েছে। তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। বিদেশীদের কাছে নালিশ করে লাভ হবে না।'
তিনি বলেন, জনগণ তাদের (বিএনপি-জামায়াত জোট) প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আন্দোলনের নামে শিশুসহ মানুষ পুড়িয়েছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করেছে। মানুষ খুন করেছে, নির্যাতন করেছে। জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যখন ৯৬-তে ভোট চুরি করে বিএনপি ক্ষমতায় আসলো, জনগণ আন্দোলন করে তাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়েছে। ওই সময় বিএনপি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সংসদে বসানোর ব্যবস্থা করেছিল।'
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা এতিমদের টাকা মেরে খায়, মানি লন্ডারিং করে, লুটপাট, দুর্নীতি আর পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে। এদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সচেতন হতে হবে।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র আছে বলেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে পেরেছি। দারিদ্র্য হ্রাস করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির একটাই উদ্দেশ্য- মানুষের কল্যাণ, বঞ্চিত-নিপীড়িত জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন করা। আর আমরা সেটাই করে যাচ্ছি। দেশপ্রেম এবং জনগণের ভালোবাসা আছে বলেই সফল হয়েছি।
Tags:
Bangladesh
সভায় উপস্থিত দলীয় নেতাদের আসন্ন কাউন্সিলে নতুন নেতা নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, '১৯৮১ থেকে ২০১৬, আর কত?'
এসময় দলীয় নেতারা আবারও তাকেই দায়িত্ব নেয়ার অনুরোধ করেন।
চার বছর পর আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হলো। এর আগে ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর এ কমিটির সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, 'জাতির দুর্ভাগ্য যে, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছিল এবং ভোট চুরি করে ক্ষমতায় গিয়েছিল, তাদের মুখে এখন গণতন্ত্রের ছবক শুনতে হয়।'
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 'বিদেশী কেউ আসলে তাদের কাছে গিয়ে বলে- দেশে গণতন্ত্র নাই। সন্দেহ আছে- তারা গণতন্ত্রের সংজ্ঞা ও বানান জানে কি না?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'জিয়াউর রহমান সংবিধান লংঘন করে, সেনা আইন ভঙ্গ করে অবৈধ এবং অগণতান্ত্রিকভাবে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করেছিলেন।'
'আর খালেদা জিয়া নিজে যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন, ভোট চুরি করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন। তারা যুদ্ধাপরাধীদের মদদদাতা' যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, 'তারা (বিএনপি) মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিন খেলেছে, আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়েছে। তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। বিদেশীদের কাছে নালিশ করে লাভ হবে না।'
তিনি বলেন, জনগণ তাদের (বিএনপি-জামায়াত জোট) প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আন্দোলনের নামে শিশুসহ মানুষ পুড়িয়েছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করেছে। মানুষ খুন করেছে, নির্যাতন করেছে। জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যখন ৯৬-তে ভোট চুরি করে বিএনপি ক্ষমতায় আসলো, জনগণ আন্দোলন করে তাদের ক্ষমতা থেকে নামিয়েছে। ওই সময় বিএনপি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সংসদে বসানোর ব্যবস্থা করেছিল।'
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা এতিমদের টাকা মেরে খায়, মানি লন্ডারিং করে, লুটপাট, দুর্নীতি আর পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে। এদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সচেতন হতে হবে।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্র আছে বলেই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করতে পেরেছি। দারিদ্র্য হ্রাস করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির একটাই উদ্দেশ্য- মানুষের কল্যাণ, বঞ্চিত-নিপীড়িত জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন করা। আর আমরা সেটাই করে যাচ্ছি। দেশপ্রেম এবং জনগণের ভালোবাসা আছে বলেই সফল হয়েছি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 Responses to “১৯৮১ থেকে ২০১৬, আর কত?'”
Post a Comment