Home
» Bangladesh
» কায় ওলামা সম্মেলনে শরিক হওয়ার আহবান কওমি সনদ ইস্যুতে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের জানান দিতে হবে : আল্লামা শফী
Saturday, October 15, 2016
কায় ওলামা সম্মেলনে শরিক হওয়ার আহবান কওমি সনদ ইস্যুতে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের জানান দিতে হবে : আল্লামা শফী
Saturday, October 15, 2016 by Unknown
কায় ওলামা সম্মেলনে শরিক হওয়ার আহবান
কওমি সনদ ইস্যুতে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের জানান দিতে হবে : আল্লামা শফী
দেশের কওমি মাদরাসাসংশ্লিষ্ট ওলামায়ের কেরামের প্রতি আগামী সোমবার
ঢাকার মিরপুর জামেয়া হোসাইনিয়া আরজাবাদ মাদরাসায় ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে
শরিক হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বেফাক সভাপতি দেশের শীর্ষ আলেম শায়খুল ইসলাম
আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
তিনি বলেছেন, সনদ ইস্যুসহ কওমি মাদরাসার যেকোনো বিষয়ে আমাদের ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার নজির সর্বাবস্থায় সামনে রাখতে হবে।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ওই সম্মেলনকে সফল ও সার্থক করে চলমান কওমি সনদ ইস্যুতে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের জানান দিতে হবে।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের মুসলমানদের চিন্তাচেতনা থেকে ধর্মীয় ভাবাদার্শ, সংস্কৃতি ও ইসলামি শিক্ষাকে ধ্বংস করে তদস্থলে নাস্তিক্যবাদী ও ভোগবাদী ধ্যানধারণা প্রতিষ্ঠার বহুমুখী আয়োজন চলছে। মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আদর্শের বিরুদ্ধে একের পর এক অপপ্রচার ও সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে নীলনকশা মতেই। তারই অংশ হিসেবে কওমি মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র জোরদার করা হচ্ছে। এই ইস্যুকে সামনে এনে এক দিকে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে নানা সন্দেহ, মতভেদ ও বিভক্তি তৈরির চেষ্টা চলছে, অন্য দিকে সনদের স্বীকৃতির নামে কওমি মাদরাসার খাঁটি ইসলামি শিক্ষার পরিচালনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, যেকোনোভাবে খাঁটি ইসলামি শিক্ষার জন্য জনগণের একমাত্র ভরসাস্থল কওমি মাদরাসাকে বহুমুখী সঙ্কটে ফেলে এই শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া। কারণ, জোর-জুলুম, ঘুষ-দুর্নীতি, অবাধ ব্যভিচার, আধিপত্যবাদসহ সর্বোপরি নাস্তিক্যবাদী ধ্যানধারণার ভোগবাদিতার জন্য এখন একমাত্র ওলামায়ে কেরামই একমাত্র বাধা। জনগণের সাথে ওলামায়ে কেরামের নাড়ির সম্পর্ক তারা বুঝে গেছে।
তিনি বলেন, সরকার দাওরায়ে হাদিসের কওমি শিক্ষা সনদের মান থাকার যৌক্তিকতা উপলব্ধি করলে, সে পর্যায়ে উচিত শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সাথে খোলামনে আলোচনা করা এবং ওলামায়ে কেরামের সম্মিলিত পরামর্শের আলোকে পদক্ষেপ নেয়া; কিন্তু আমরা এর উল্টাটাই দেখছি। আলেমসমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো ব্যক্তিবিশেষের পরামর্শে কওমি সনদের বিষয়ে সরকার একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে থাকলে, সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে।
বেফাক সভাপতি বলেন, আগামীকাল ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন সফল করার মধ্য দিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ জোরালো অবস্থান ও সিদ্ধান্তের জানান দিতে হবে। তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের স্বাধীনতা সব নাগরিকের রয়েছে। এখানে অযাচিত হস্তক্ষেপ করতে কাউকে সুযোগ দেয়া হবে না। আমাদের সামনে বৃহৎ প্রতিবেশী হিন্দু অধ্যুষিত ভারতের কওমি মাদরাসা পরিচালনা পদ্ধতির নজির রয়েছে।
নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের আলেম প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ : আজ সকাল ১০টায় নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার কওমি মাদরাসাগুলোর পরিচালকদের ৩০ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল কওমি সনদের স্বীকৃতি প্রশ্নে বেফাক সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফীর গৃহীত অবস্থানের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন থাকার কথা জানাতে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসায় তার সাথে দেখা করেন।
নোয়াখালী মিরওয়ারিশপুর হোসাইনিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা নিজাম উদ্দীনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন মাওলানা সফি উল্লাহ (পরিচালক চৌমুহনী ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদরাসা), মাওলানা মোশাররফ হোসাইন (পরিচালক, আমানতপুর ইসলামিয়া মাদরাসা), মাওলানা শিব্বির আহমদ (পরিচালক, চরমুটুয়া মাদরাসা), মাওলানা নূরুল ইসলাম (পরিচালক, হাজিরহাট মাদরাসা), মাওলানা আতাউল্লাহ (পরিচালক, জামেয়া ইসলামিয়া খাজুরিয়া), মাওলানা ইউসুফ (পরিচালক, জামেয়া ওসমানিয়া চাটখিল), মাওলানা নোমান আহমদ (পরিচালক, জামেয়া মাদানিয়া মাইজদি), মাওলানা মোস্তাকুন্নবী, মাওলানা ইয়াকুব কাসেমী, মাওলানা মনজুর সিদ্দিক (পরিচালক, হরিনায়ণপুর মাইজদি), মাওলানা দেলোয়ার হোসেন (জামেয়া ওসমানিয়া নোয়াখালী) প্রমুখ। লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে মাওলানা আবু তাহের (পরিচালক, চরমুটুয়া আল-আরাবিয়া মাদরাসা), মাওলানা মামুনুর রশীদ (পরিচালক, আশরাফুল মাদারেস বটতলী), মাওলানা কলিমুল্লাহ (পরিচালক, লামচরি আরাবিয়া মাদরাসা), মাওলানা বশীর আহমদ (পরিচালক, আল-মুঈন অ্যাকাডেমি মাদরাসা), মাওলানা নূরুদ্দীন (পরিচালক রায়পুর মাদরাসাতুন নূর), মাওলানা মুকতাদির (পরিচালক, ফারুকিয়া মাদ্রাসা), মাওলানা আমীর হোসেন (পরিচালক, মুহিউচ্ছুন্নাহ জালালিয়া মাদরাসা) প্রমুখ।
কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদের মান নির্ধারণী ইস্যুতে বেফাক সভাপতি শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর অবস্থান ব্যাখ্যা করে তার উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন প্রেসসচিব মাওলানা মুনির আহমদ। বিজ্ঞপ্তি।
তিনি বলেছেন, সনদ ইস্যুসহ কওমি মাদরাসার যেকোনো বিষয়ে আমাদের ভারতের দেওবন্দ মাদরাসার নজির সর্বাবস্থায় সামনে রাখতে হবে।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ওই সম্মেলনকে সফল ও সার্থক করে চলমান কওমি সনদ ইস্যুতে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের জানান দিতে হবে।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের মুসলমানদের চিন্তাচেতনা থেকে ধর্মীয় ভাবাদার্শ, সংস্কৃতি ও ইসলামি শিক্ষাকে ধ্বংস করে তদস্থলে নাস্তিক্যবাদী ও ভোগবাদী ধ্যানধারণা প্রতিষ্ঠার বহুমুখী আয়োজন চলছে। মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আদর্শের বিরুদ্ধে একের পর এক অপপ্রচার ও সঙ্কট তৈরি করা হচ্ছে নীলনকশা মতেই। তারই অংশ হিসেবে কওমি মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র জোরদার করা হচ্ছে। এই ইস্যুকে সামনে এনে এক দিকে ওলামায়ে কেরামের মধ্যে নানা সন্দেহ, মতভেদ ও বিভক্তি তৈরির চেষ্টা চলছে, অন্য দিকে সনদের স্বীকৃতির নামে কওমি মাদরাসার খাঁটি ইসলামি শিক্ষার পরিচালনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, যেকোনোভাবে খাঁটি ইসলামি শিক্ষার জন্য জনগণের একমাত্র ভরসাস্থল কওমি মাদরাসাকে বহুমুখী সঙ্কটে ফেলে এই শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া। কারণ, জোর-জুলুম, ঘুষ-দুর্নীতি, অবাধ ব্যভিচার, আধিপত্যবাদসহ সর্বোপরি নাস্তিক্যবাদী ধ্যানধারণার ভোগবাদিতার জন্য এখন একমাত্র ওলামায়ে কেরামই একমাত্র বাধা। জনগণের সাথে ওলামায়ে কেরামের নাড়ির সম্পর্ক তারা বুঝে গেছে।
তিনি বলেন, সরকার দাওরায়ে হাদিসের কওমি শিক্ষা সনদের মান থাকার যৌক্তিকতা উপলব্ধি করলে, সে পর্যায়ে উচিত শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সাথে খোলামনে আলোচনা করা এবং ওলামায়ে কেরামের সম্মিলিত পরামর্শের আলোকে পদক্ষেপ নেয়া; কিন্তু আমরা এর উল্টাটাই দেখছি। আলেমসমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো ব্যক্তিবিশেষের পরামর্শে কওমি সনদের বিষয়ে সরকার একের পর এক বিতর্কিত পদক্ষেপ নিতে থাকলে, সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে।
বেফাক সভাপতি বলেন, আগামীকাল ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন সফল করার মধ্য দিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ জোরালো অবস্থান ও সিদ্ধান্তের জানান দিতে হবে। তিনি বলেন, সাংবিধানিকভাবে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের স্বাধীনতা সব নাগরিকের রয়েছে। এখানে অযাচিত হস্তক্ষেপ করতে কাউকে সুযোগ দেয়া হবে না। আমাদের সামনে বৃহৎ প্রতিবেশী হিন্দু অধ্যুষিত ভারতের কওমি মাদরাসা পরিচালনা পদ্ধতির নজির রয়েছে।
নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের আলেম প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ : আজ সকাল ১০টায় নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার কওমি মাদরাসাগুলোর পরিচালকদের ৩০ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল কওমি সনদের স্বীকৃতি প্রশ্নে বেফাক সভাপতি আল্লামা শাহ আহমদ শফীর গৃহীত অবস্থানের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন থাকার কথা জানাতে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসায় তার সাথে দেখা করেন।
নোয়াখালী মিরওয়ারিশপুর হোসাইনিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা নিজাম উদ্দীনের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন মাওলানা সফি উল্লাহ (পরিচালক চৌমুহনী ইসলামিয়া আরাবিয়া মাদরাসা), মাওলানা মোশাররফ হোসাইন (পরিচালক, আমানতপুর ইসলামিয়া মাদরাসা), মাওলানা শিব্বির আহমদ (পরিচালক, চরমুটুয়া মাদরাসা), মাওলানা নূরুল ইসলাম (পরিচালক, হাজিরহাট মাদরাসা), মাওলানা আতাউল্লাহ (পরিচালক, জামেয়া ইসলামিয়া খাজুরিয়া), মাওলানা ইউসুফ (পরিচালক, জামেয়া ওসমানিয়া চাটখিল), মাওলানা নোমান আহমদ (পরিচালক, জামেয়া মাদানিয়া মাইজদি), মাওলানা মোস্তাকুন্নবী, মাওলানা ইয়াকুব কাসেমী, মাওলানা মনজুর সিদ্দিক (পরিচালক, হরিনায়ণপুর মাইজদি), মাওলানা দেলোয়ার হোসেন (জামেয়া ওসমানিয়া নোয়াখালী) প্রমুখ। লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে মাওলানা আবু তাহের (পরিচালক, চরমুটুয়া আল-আরাবিয়া মাদরাসা), মাওলানা মামুনুর রশীদ (পরিচালক, আশরাফুল মাদারেস বটতলী), মাওলানা কলিমুল্লাহ (পরিচালক, লামচরি আরাবিয়া মাদরাসা), মাওলানা বশীর আহমদ (পরিচালক, আল-মুঈন অ্যাকাডেমি মাদরাসা), মাওলানা নূরুদ্দীন (পরিচালক রায়পুর মাদরাসাতুন নূর), মাওলানা মুকতাদির (পরিচালক, ফারুকিয়া মাদ্রাসা), মাওলানা আমীর হোসেন (পরিচালক, মুহিউচ্ছুন্নাহ জালালিয়া মাদরাসা) প্রমুখ।
কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদের মান নির্ধারণী ইস্যুতে বেফাক সভাপতি শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর অবস্থান ব্যাখ্যা করে তার উপস্থিতিতে বক্তব্য রাখেন প্রেসসচিব মাওলানা মুনির আহমদ। বিজ্ঞপ্তি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 Responses to “কায় ওলামা সম্মেলনে শরিক হওয়ার আহবান কওমি সনদ ইস্যুতে আলেমদের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের জানান দিতে হবে : আল্লামা শফী”
Post a Comment